মানব দেহের সুষম পুষ্টি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ফল খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। আমের মধ্যে এসকল গুণাগুণ বর্তমান। পৃথিবীর অন্যান দেশের তুলনায় আমাদের দেশে ফলের উৎপাদন এবং ভক্ষণের পরিমাণ অত্যন্ত কম।
ট্রিটমেন্টের উপকারিতা
* এনথ্রাকনোজ (বোঁটা পচা) রোগে আক্রান্ত আম সহজেই জীবাণুমুক্ত করা যায়।
* আমের সংরক্ষণ ক্ষমতা অন্তত ১০ দিন বৃদ্ধি হয়।
* আমের গায়ের আঠা উঠে যায় যে কারণে আমের উজ্জ্বলতা বেড়ে যায়।
পাহাড়ি এলাকার চাষ
পাহাড়ি ঢালে আমবাগান স্থাপনের জন্য সমতল ভূমির নিয় মানা যাবে না। সমতল এলাকায় যে দূরত্বে গাছ রোপণ করা হয়। পাহাড়ি এলাকায় সেটি প্রযোজ্য নয়। পাহাড়ি এলাকার ভূমির উচ্চতার উপর নির্ভর করে গাছের দূরত্ব।
সংগ্রহোত্তর পর্যায়ে ক্ষতি
ক) আম সংগ্রহের পরেও শ্বসন, প্রস্বেদন ইত্যাদি জৈবিক প্রক্রিয়া চলতে থাকে যে কারণে পারিপার্শ্বিক অবহাওয়ায় আম দারুণভাবে প্রভাবিত হয়। জৈবিক প্রক্রিয়ায় বিঘœ ঘটলে আম দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
ট্রিটমেন্টকালীন সাবধানতা
* গাছ থেকে আম সংগ্রহের ২-৪ ঘন্টার মধ্যেই গরম পানিতে ট্রিটমেন্ট করতে পারলে সবচেয়ে উত্তম।
* পাকা, আধা-পাকা বা আঘাতপ্রাপ্ত আম ট্রিটমেন্ট করা যাবে না।
বাগানে আন্ত ফসল
আমগাছ রোপণের পর গাছগুলোর মধ্যেকার ফাঁকা অনেক অংশ রয়ে যায়। আমগাছের ডাল পালা বড় হতে এবং আশেপাশের ছড়িয়ে যেতে প্রায় ২৫-৩০ বছর সময় লেগে যায়। এই সময়টুকু কাজে লাগিয়ে নির্বিঘ্নে
আম সংগ্রহের উপযুক্ত সময়
আম সংগ্রহোত্তর ক্ষতির কারণসমূহ সম্পর্কে সম্যক ধারণার পর এগুলো থেকে উত্তরণের প্রথম কাজটি হচ্ছে সঠিক সময়ে আম সংগ্রহ করা। আম পুষ্টতা পেয়েছে বা পোক্ত হয়েছে কিনা এটি নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আম প্যাকিং
বাংলাদেশে উৎপাদিত একমাত্র ফল আম যার জন্য প্যাকিং ও পরিবহণ ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানে উন্নতি করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে এখন থেকেই গুরুত্ত্বারোপ করা উচিত। যদিও আমাদের দেশে উন্নতমানের কমলা
চারা রোপণ দূরত্ব
রোপণ দূরত্ব নির্ভর করে আমের জাতের উপর। দ্রুত বর্ধনশীল আমের জাত বা বড় আকৃতির গাছ হলে (ফজলী আম বা রাণীপছন্দ, কোহিতুর) সাধারণত ১২ মিটার বা ৪০ ফুট দূরত্বে রোপণ করতে হয়।
আমের পুষ্টতা নির্ধারণ
যে সকল বাগানমালিক বা আমবাগানের সাথে যাদের দীর্ঘদিন সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তারা আপনা-আপনিই দক্ষতা অর্জন করেছেন। যাদের এ ব্যাপারে বাস্তব অভিজ্ঞতা নেই তারা আমের পুষ্টতা নির্ণায়ক বৈশিষ্ট্যগুলো বুঝতে
আম সংগহোত্তর পরিবহণ
আমাদের দেশে বড় শহরে আমের প্রধান বাজার হিসেবে পরিচিত। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর এসকল এলাকায় আমভোক্তা
চারা নির্বাচন
আমবাগান তৈরির জন্য আমের জাত নির্বাচন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিজের প্রয়োজনে অথবা বাজারজাত করার জন্য কোনো কোনো জাতের চাহিদা বেশি। গুণগত মান ভাল এবং বাজার মূল্য বেশি, এ সকল বিষয়
গাছ থেকে আম সংগ্রহ
অভিজ্ঞ শ্রমিক দ্বারা আম পাড়লে আমের গুণগত মান নষ্ট হবার ঝুকি কম থাকে। অপুষ্ট আম পাড়লে এবং অযত্নে আম পাড়লে গায়ে আঘাত লাগালে এর সংরক্ষণশীলতা এবং আহারোপযোগিতা অনেকাংশে কমে যায়।
চারা রোপণের সময়
আমের চারা রোপণের সর্বোৎকৃষ্ট সময় হচ্ছে বর্ষার শুরু অথবা শেষ অর্থাৎ জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় বা ভাদ্র-আশ্বিন মাস। এ সময়ে মাটিতে পর্যাপ্ত রস থাকে, ফলে চারা রোপণের পর বাড়তি পানি ব্যবহার করতে হয় না।
আম গাছের শ্রেণীবিভাগ
স্থায়ীভাবে একটি সুন্দর ফলের বাগান করার ইচ্ছা, কিন্তু জমির পরিমাণ অল্প, এক্ষেত্রে এই দুটো বিষয়কেই সমন্বিত করতে হবে। এমন বাগান তৈরি করতে হবে যাতে করে বাগানটি দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং সেখান থেকে বংশপরম্পরায় লাভবান হওয়া যায়।
আম পাড়ার সময় লক্ষনীয়
ক) সঠিকভাবে পুষ্টতা (পোক্ত) নির্ধারণ করে আম পড়ার কাজ শুরু করতে হবে। বেশিরভাগ আমের পুষ্টতা এলেই আম পাড়তে হবে। আমগাছ কিন্তু একই সময়ে সব মুকুল আসে না।
আগাছা দমন
আগাছা গাছের খাদ্য খেয়ে নেয়। এতে করে আমগাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একারণে লক্ষ রাখতে হবে গাছের গোড়ায় যেন অন্য কোনো গাছ বা আগাছা জন্ম নিতে না পারে। মাঝে মধ্যে গাছের গোড়ার মাটি কুপিয়ে আগাছা সরিয়ে দিতে হবে।
ডাল ছাঁটাই
নতুন বাগানে চারা রোপণের ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে চারা গাছের গোড়া থেকে নতুন ডালপালা গজায়। গাছের গোড়ার কাঠামো ঠিক রাখার জন্য এসকল অপ্রয়োজনীয় ডালপালা ছাঁটাই করে শুধু গাছের প্রধান কাণ্ডটি
কোথায় আম রাখতে হবে ?
সাধারণত দেখা যায়, গাছ থেকে আম পেড়ে শুধু পাকারে গাছের তলায় আম রাখা হয়। এতে আমের গুণাগুণ অনেকাংশে নষ্ট হয়ে যায়। আবার ঠাসাঠাসি করে আম পাত্রে বা বস্তায় ভর্তি করা উচিত নয়।
জমি তৈরি
আমের চাষ বাগান আকারে করতে হলে নির্দিষ্ট জমি প্রথমেই চাষ ও মই দিয়ে তৈরি করে নিতে হবে। জমিতে অন্য কোনো ঝোপজাড়, আগাছা কিম্বা অন্য কোনো গাছের শিকড় থাকতে পারবে না। জমির মধ্যে ইট, পাথর,
চারা গাছের মুকুল
এমন অনেক কলমের গাছ রয়েছে যেগুলোতে প্রথম বছরেই মুকুল আসে। আবার এমন অনেক অপরিণত চারাগাছ রয়েছে যেগুলো মুকুলিত হতে পারে। এই গাছগুলোর মুকুল ভেঙ্গে দিতে হবে। এ কাজটি না করলে চারা
বাছাই ও শ্রেণীবিন্যাস
গাছ থেকে আম সংগ্রহকালীন আঘাতপ্রাপ্ত আম, কিম্বা রোগ বা পোকায় আক্রান্ত আম বেছে আলাদা করতে হবে। এ আম স্থানীয় বাজারে বিক্রি করাই শ্রেয়। বাছাই করা ভাল আমগুলো ছোট, মাঝারি এবং বড় এই তিন
জমিতে গর্ত তৈরি
বর্গাকার, আয়তাকার কিম্বা ত্রিভুজাকার যে কোনো প্রণালীতেই আমের চারা রোপণ করা হোক না কেন, গাছ রোপণের স্থানটি চিহ্নিত করে বর্ষা মৌসুম শুরু হবার আগে গর্ত তৈরি করে নিতে হবে। সাধারণত
অসঙ্গতিযুক্ত চারাগাছ
কলমের ডাল জোড়া লাগার পর যদি আদিজোড়া (Stock) (Scion) ও উপজোড় স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠে, তাহলে মনে করতে হবে এরা পরস্পরের প্রতি সুসংহত। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে
আম ট্রিটমেন্ট
আম প্যাকেটজাত করে পরিবহণের জন্য মোকামে পাঠানোর পূর্বে বাছাই করে গরম পানিতে ট্রিটমেন্ট করতে হবে। আমকে রোগমুক্ত রাখা বা সংগৃহীত আমের পচন রোধ করার জন্য বালাইনাশকের ব্যবহার দিন
পানি সেচ
বাংলাদেশের বর্ষাকালে আমগাছে পানির প্রয়োজন নেই। তবে খেয়াল রাখা দরকার কোন গাছের গোড়ায় যেন পানি জমে না থাকে। চারা রোপণের পর থেকেই পানি সেচ দিয়ে গাছটিকে বাঁচিয়ে রাখতে যত্নবান হতে হবে। গাছটি বড় হতে অন্তত
ফলন্ত গাছের পরিচর্যা
একটি আমগাছ যখন চারা অবস্থা থেকে পূর্ণ একটি আমগাছে পরিণত হয় তখন গাছটির অর্থনৈতিক মুল্য অনেক বেড়ে যায়। সাধারণত চারা রোপণের পর ৭ থেকে ৮ বছরের মধ্যেই একটি গাছ পূর্ণতা পেয়ে যায়।
ট্রিটমেন্টের পুরানো পদ্ধতি
আবুল ফজল আল্লামী কর্তৃক লিখিত (১৫৯৮) এবং পরবর্তীতে এইচ. ব্লখম্যান (H. Blochmann) কর্তৃক ১৯২৭ সালে মুল ফারসি থেকে ইংরেজি ভাষায় অনুবাদকৃত ইতিহাস বিখ্যাত একটি পুস্তক আইন-ই-আকবরী।
রোপণ পরবর্তী পরিচর্যা
আম এমন একটি ফসল যা বংশ পরম্পরায় ভোগ করা যায়। আমগাছ কিম্বা আম বাগানের যে বিশেষ পরিচর্যায় প্রয়োজন, এবিষয়টি দেশের অধিকাংশ বাগান মালিকেরা বুঝতেন না। কিম্বা বুঝেও গুরুত্ব দিতেন না।
অঙ্গ ছাঁটাই
আমগাছ বড় আকারের হলে অনেক সময় ভিতরে ঘন ডালপালা হয়ে যায়। এগুলো ছাঁটাই করা ভাল। ফল সংগ্রহের পর আমগাছগুলো চারিদিকে সামান্য ছাঁটাই করে দিলে যে গাছগুলো থেকে প্রতি বছর আম পাওয়া যায় না সেগুলো থেকে ফল পাবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।