রসুন ও কাচামরিচে আমের আচার
- Published Date
- Written by Super Admin
- Hits: 7620
ছোটবেলায় আম্মাকে দেখতাম কাচা আম শুকিয়ে আমের ঝাল আচার , কাশ্মীরি আচার তৈরি করতে । এখন অসুস্থতার কারনে আর এত ঝামেলা করে আমের আচার তৈরি করেন না ।
ছোটবেলায় আম্মাকে দেখতাম কাচা আম শুকিয়ে আমের ঝাল আচার , কাশ্মীরি আচার তৈরি করতে । এখন অসুস্থতার কারনে আর এত ঝামেলা করে আমের আচার তৈরি করেন না ।
আর আমিও করবো করবো করে আর করি না । হয় টিভি নয়ত পিসি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেলেই সব ভুলে যাই । এবার অনেকটা নিজেকে জোর দিলাম । এবার আমি একটা আমের আচার করবই ।
যেই ভাবা সেই কাজ হয় যদি হাতের কাছে সব থাকে । তরকারিওয়ালা এসেছে দেখে কিছু তরকারি কেনা হল সাথে ১ কেজি কাচা আম ।
কি কি লাগবে দেখে নিইঃ
১. কাচা আম - ৮ টি ছোট সাইজের ।
২. রসুন - আস্ত ২ টা রসুনের খোসা ছাড়িয়ে কোয়া আলাদা করা ( যারা রসুন পছন্দ করেন না তারা এটা বাদ দিয়ে করতে পারেন )।
৩. কাচামরিচ - ১৫/২০ টা ( ঝাল কেমন খেতে পছন্দ করেন সেটার উপর নির্ভর করে মরিচ কম/বেশী দিবেন )।
৪. সরিষার তেল - ২ কাপ ।
৫. জৈন , মেথি , কালোজিরা , সাদা সরিষা - প্রতি টি ১ চা চামচ ।
৬. রসুন বাটা - ২ চা চামচ ।
৭. হলুদের গুড়া - ১ চা চামচ ।
৮. মরিচের গুড়া - ১ চা চামচ ।
৯. লবন - স্বাদ বুঝে দিবেন ( ১ চামচ কিংবা তার চেয়ে একটু কম ) ।
১০. পাঁচফোড়ন গুড়া - ১ চা চামচ ।
১১. সিরকা - আধা কাপ ।
আচার তৈরির পূর্ব প্রস্তুতিঃ
১. আম ধুয়ে ৪ টুকরা করে কাটতে হবে । বাটা রসুন এবং হলুদের গুড়া কেটে রাখা আমে মিশাতে হবে ।
২. রসুন এর খোসা ফেলে ধুয়ে নিতে হবে ।
৩. কাচামরিচের ডাটা ফেলে ধুয়ে নিতে হবে ।
৪. উপরের সব উপকরণ একসাথে বড় একটা থালা কিংবা বাঁশের কুলা তে দিয়ে রোদে শুকাতে দিন । ১ থেকে ২ ঘন্টা রোদে রাখলেও চলবে ।
৫. জৈন , মেথি , কালোজিরা , সাদা সরিষা - ধুয়ে নিন । একটা আলাদা ছোট পাত্রে নিয়ে রোদে শুকাতে দিন ।
এগুলো শুকিয়ে গেলে একসাথে গুড়ো করে নিন । গুড়ো না করে আস্ত দিলেও হবে ।
তৈরি প্রণালীঃ
১. প্রথমে একটা কড়াই এ সরিষার তেল দিন । তেল ভালো করে গরম করে নিন ।
২. গরম তেল এ জৈন , মেথি , কালোজিরা , সাদা সরিষা গুড়ো , মরিচের গুড়া , পাঁচফোড়ন গুড়া দিয়ে একটু ভাজুন ।
৩. এখন কাচা আম , রসুন ও কাচামরিচ দিয়ে লবন দিন ।
৪. এরপর সিরকা দিয়ে আচার রান্না করুন । ৫ থেকে ১০ মিনিট ।
৫. এখন নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন ।
৬. ঠাণ্ডা হয়ে গেলে কাচের বৈয়ামে ভরে রাখুন ।
৭. মাঝে মাঝে আমের আচার এর বৈয়াম রোদে দিতে ভুলবেন না । এতে নাকি আচার অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকে ।
Comments
- No comments found
Leave your comments